এরা হলেন- মিজানুর রহমান ওরফে গালিব হাসান (৩৮), রাহা মিয়া পাইলট (২৯), আলমগীর হোসেন (২৯), তানজীমুল ইসলাম (২৪) ও মাসুদ রানা ওরফে সল্লু খান (৩১)।
মঙ্গলবার রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মনসুর আলী আরিফ বুধবার ওই পাঁচজনকে রামপুরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে প্রত্যেককের ১০ দিন করে রিমান্ডে চান।
অন্যদিকে পাঁচ আসামির আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী মাসুদ শেখ জামিন নাকচ করে পাঁচজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহাকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানান।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ওই পাঁচ বাংলাদেশি জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল ইসলামের নামে সদস্য সংগ্রহ করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্যের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী এসএমএ বারেক এর বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, “তারা সবাই বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। মাঝেমধ্যে দেশেও এসেছেন। তারা কোনো ধরনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন।”
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তাদের সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল ইসলামের নামে সদস্য সংগ্রহ করছেন- এমন সন্দেহে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
পুলিশ বলছে, ২০০৭ সালে শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ ছিল না। সেখানে গিয়ে তারা ‘র্যাডিকেলাইজড’হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আরও আট বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার জানায়, ওই বাংলাদেশিরা ‘ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ (আইএসবি)’ নামে একটি গোপন সংগঠনের সদস্য। তারা দেশে ফিরে হামলার ছক আঁটছিলেন।