মঙ্গলবার সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিল-২০১৬’ এবং ‘প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিল-২০১৬’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন।
পরে বিল দুটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি বিল দুটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে বিল দু’টি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আনিসুল হক, “সংবিধানের (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন-২০১১ দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশগুলোর অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ওই অধ্যাদেশগুলোর কার্যকারিতা লোপ পেয়েছে।”
“ওই অধ্যাদেশটি দ্বারা বিদ্যমান নেভি (এক্সটেনশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট-১৯৫০, আর্মি অ্যান্ড এয়ারফোর্স রিজার্ভস অ্যাক্ট-১৯৫০, আর্মি অ্যাক্ট-১৯৫২, এয়ার ফোর্স (এক্সটেনশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট ১৯৫২, এয়ারফোর্স অ্যাক্ট-১৯৫৩, নেভি অর্ডিন্যান্স-১৯৬১ এর সময় সময় কিছু সংশোধন করা হয়েছিল।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “অধ্যাদেশটির অধীন কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন করা প্রয়োজন।”
একই কারণে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিল আনা হয়েছে বলেও জানান আনিসুল হক।
‘ডিফেন্স সার্ভিসেস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স-১৯৭৯’ বাতিল করেন নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর সর্বাধিনায়ক হবেন এবং সংবিধানের ৬১ অনুচ্ছেদের অধীন তার উপর ন্যস্ত প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর সর্বাধিনায়কতা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর প্রধানদের মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন।