মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর কুয়েতের একটি বিশেষ বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী।
কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ, অর্থ ও তেলমন্ত্রী আনাস খালেদ আল-সাবাহ, শিক্ষামন্ত্রী বদর হামাদ আল-ইসাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দেশটির সরকার প্রধানের সফরসঙ্গী হন।
বিমানবন্দরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ জাবের আল-মুবারক ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। একটি ছোট শিশু এ সময় তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেয়। এরপর তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিনি সশস্ত্র সালাম এবং তিন বাহিনীর একটি চৌকস দলের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
অভিবাদন পর্ব শেষে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীসহ প্রতিনিধ দল হোটেল লা মেরিডিয়ানের উদ্দেশ্যে রওনা হন, সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে শেখ জাবেরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে এসেছে এই প্রতিনিধি দল।
তিনদিনের এই সরকারি সফরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে মিলিত হবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন শেখ জাবের আল-মুবারক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জনশক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।