রাজধানীতে চলছে কুকুর বন্ধ্যাকরণ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে কুকুরের বন্ধ্যাকরণ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2016, 01:30 PM
Updated : 3 May 2016, 02:55 PM

মঙ্গলবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় রাজধানীতে রেওয়ারিশ কুকুর নিধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে কুকুর মারা বন্ধ রেখে টিকাদান কর্মসূচি ও বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।”

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অভয়ারণ্য নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে ২০১২ এর ১ এপ্রিলে এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

এর আলোকেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম পুরোদমে এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান উত্তোলিত ভূ-গর্ভস্থ পানির মাত্র ১০ শতাংশ খাবার পানির জন্য উত্তোলন করা হয়। বাকি মূল অংশ কৃষি খাতে ব্যবহৃত হয়। কাজেই পানিস্তর ধরে রাখার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ধরে রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থিত পানি ব্যবহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

“বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সিলেট ও বরিশাল মহানগরী এবং গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, বান্দরবান, নরসিংদী জেলায় ভূ-উপরিস্থিত পানি সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিতে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ পানির চাহিদা মেটানো হচ্ছে।”

এছাড়া ভিলেজ ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের আওতায় ২০০টি নতুন পুকুর খনন ও ১৪৩টি পুণঃখননের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

রাজধানীতে ভূ-উপরিস্থিত পানি ব্যবহারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির ২২ ভাগ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ এটা শতকরা ৭০ ভাগে উন্নীত হবে।