বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার চার রাজাকার সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদ, তার ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান ও হাফিজউদ্দিন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন; আজহারুলের আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে।
পাঁচজনের মধ্যে ফাঁসির শামসুদ্দিন আহমেদই কেবল রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন; বাকিরা পলাতক।
পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুশ শুকুর খান মনে করেন, আসামিরা আত্মসমর্পন করে উচ্চ আদালতে আপিল করলে খালাস পাবেন।
রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ন্যায় বিচার পাইনি। আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। আসামিরা যদি উচ্চ আদালতে আপিল করে, তাহলে তারা অবশ্যই খালাস পাবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে শুকুর জানান, আসামি বা তাদের পরিবারের সদস্যদের কারো তার যোগাযোগ হয়নি। প্রসিকিউশন থেকে দেওয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে তিনি মামলা লড়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আসামি শামসুদ্দিন ন্যায়বিচার পান নাই।তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত প্রসিকিউশনের শেখানো সাক্ষীর মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে।
“আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষীপ্রমাণ হাজির করেছিল, ঘটনার সময় বেশিরভাগ সাক্ষী ছিলো শিশু এবং অপ্রত্যক্ষ ও শোনা সাক্ষী। ভোটার আইডি কার্ড এবং এসএসসির সনদ অনুসারে আসামি শামসুদ্দিন আহমেদের বয়স ছিল ১২ বছর ৬ মাস। আমরা ট্রাইব্যুনালে এই সব দাখিল করেছি।
“সেই সমস্ত বিষয় ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়েই আজকে রায় প্রচার করেছে, সেই রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি।”
তবে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রায় পর্যালোচনার পর আসামি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মাসুদ।