খাটের নিচে ব্যবসায়ীর পলিথিনমোড়া লাশ, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৩

ঢাকার চকবাজারের এক বাসায় খাটের নিচ থেকে এক ব্যবসায়ীর পলিথিনমোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2016, 06:29 AM
Updated : 3 May 2016, 11:54 AM

নিহত মো. জামিল হোসেন (৩৬) চকবাজারে টেপসহ বিভিন্ন সামগ্রীর একটি দোকান চালাতেন। ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৫৯ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

পুলিশ বলছে, স্ত্রীর ‘পরকীয়ার জের ধরে’ জামিলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই বাসা থেকে জামিলের লাশ উদ্ধারের পর তার স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে জামিলের বোন শাহেদা পারভীন ও ভাগ্নি রুমা পারভীন থানায় এসে অভিযোগ করেন, সকাল থেকে জামিলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তারা।

“তারা বলেন, সোমবার সকালে দোকানে যাওয়ার কথা বলে জামিল বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন বলে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছে, জামিল দোকানে যাননি।”

অভিযোগ পাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে মৌসুমী আক্তারকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে হাফিজুর রহমান জানান।

“আমরা তাকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করি। এক পর্যায়ে তার কথায় অসংলগ্নতা দেখে তাকে নিয়ে বাসায় যাই। বাসায় ঢুকতে চাইলে প্রথমে তিনি চাবি হারিয়ে ফেলার কথা বলেন। পরে চাপের মুখে চাবি বের করে দেন।”

হাফিজুর জানান, বাসার দুটি শোবার ঘরের দুটোই তালা দেওয়া ছিল। প্রথম ঘরে ঢুকেই তারা লাশের গন্ধ পান এবং খাটের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় জামিলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেন।

“লাশ উদ্ধারের পর মৌসুমী বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে আসলাম ও আল আমিন নামের দুই যুবক তাদের বাসায় এসে তার স্বামীকে খুন করে যায়। তার দাবি, জামিলকে যখন খুন করা হয়, তখন তিনি পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে অন্য ঘরে ছিলেন।

“মৌসুমীর দাবি, আসলাম ও আল আমিন খুন করে চলে যাওয়ার আগে তাকে শাসিয়ে যায়; জানাজানি হলে ছেলেকেও হত্যা করা হবে বলে তারা হুমকি দেয়।”

পরে ভোরের দিকে চকবাজার থেকে আসলাম ও আল আমিনকেও গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুর বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

তিনি বলেন, “আসলাম চকবাজারের একটি দোকানের ম্যানেজার। ব্যাবসায়ীক সূত্রে জামিলের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। মৌসুমী আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, আসলামের সঙ্গে তার প্রণয় ছিল।”