এই সময়ে প্রায় সাড়ে তিনশ জনকে গ্রেপ্তার এবং প্রায় ৭০০ জন মিয়ানমারের নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুধু এপ্রিল মাসেই প্রায় ৭০ কোটি টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৭ হাজার ৯১৭ বোতল ফেনসিডিল, এক হাজার ২১০ কেজি গাঁজা, ২৩ হাজার ৯১৯ বোতল বিদেশি মদ এবং এক কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে বিজিবি।
এছাড়া একই সময়ে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭টি বিভিন্ন ধরনের উত্তেজক ট্যাবলেট, তিন হাজার ৮৯৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১০ হাজার ১৭৪টি বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
এদিকে এপ্রিল মাসে নয় হাজার ৪১৪ টি শাড়ি, তিন হাজার ৮১টি থ্রিপিস- শার্টপিস, ৫১ হাজার ৫৭৭ মিটার থান কাপড়, তিন হাজার ৩৪২ সিএফটি কাঠ এবং দুই কেজি ৪২ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে এই সীমান্তরক্ষা বাহিনী।
এই সময়ে বিজিবির অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে একটি পিস্তল, একটি এয়ার গান, ৩০ রাউন্ড গুলি এবং দুইটি ম্যাগাজিন রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৮ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, এই সময়ে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৬৯৮ জন মিয়ানমারের নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ বিজিবি প্রতিহত করেছে।