অপরাধ প্রতিরোধে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে: আইজি

শুধু মামলা নিয়ে আর তদন্ত করে সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে অপরাধ প্রতিরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) একেএম শহীদুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2016, 04:36 PM
Updated : 2 May 2016, 04:36 PM

সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের ত্রৈ-মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, “শুধুমাত্র মামলা নিয়ে, তদন্ত করে সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অপরাধ প্রতিরোধে জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

“পুলিশি কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রতিরোধমূলক পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।”

সভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান জানিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের জঙ্গি কার্যক্রম সম্পর্কে ‘সতর্ক’ থাকতে নির্দেশনা দেন একেএম শহীদুল হক।

এতে লেখক-প্রকাশক ও ব্লগারসহ মতাদর্শগত হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন আইজি।

এ সময় পুলিশ মহাপরিদর্শককে জানানো হয়, ১১টি ব্লগার হত্যা মামলার মধ্যে একটি মামলার বিচার হয়েছে। তিনটি মামলা বিচারধীন এবং সাতটি মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও সতর্ক ও তৎপর থাকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজি শহীদুল হক।

সভায় ভাড়াটিয়া, ভাসমান ও অস্থায়ী আগন্তকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে গ্রামে গ্রামে মাদক নির্মূল কমিটি গঠনে পুলিশকে ভূমিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।

বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে একেএম শহীদুল হক বলেন, “জেলা পুলিশ সুপারদেরকে খুনের মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপরাধীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”

সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

সভায় দেশব্যাপী অপহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক ভাল এবং সারাদেশে তুলনামূলক মামলার সংখ্যা কমেছে বলে সভায় জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

এতে পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়, ২০১৫ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে মোট মামলা হয়েছে ৪৪ হাজার ২১৫টি। এ বছরের প্রথম তিন মাসে মামলার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২৬৯টি ।

সভায় পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত আইজিপি অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো. মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।