জুলহাজ-তনয় হত্যার ১০ আলামত পরীক্ষার অনুমতি সিআইডিকে

ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যার ঘটনায় দায়ের দুই মামলায় ১০ আলামত পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2016, 01:20 PM
Updated : 2 May 2016, 01:28 PM

গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এই অনুমতি দিলেও খবরটি জানা গেছে সোমবার।

গত বছরের কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের মতো ২৫ এপ্রিল বিকালে কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় পার্সেল দেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অ্যাসিসটেন্ট জুলহাজ জুলহাজ (৩৫) ও তার বন্ধু তনয়কে (২৬)।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাত ভাই জুলহাজ সমকামীদের অধিকারের পক্ষের সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।

ওই খুনের ঘটনায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন; অপর মামলাটি করে পুলিশ। দুটি মামলারই তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যা মামলায় কলাবাগান থানার পরিদর্শক কে এম আশরাফউদ্দিন এবং অস্ত্র মামলায় এসআই আনসার আলী এই ১০ আলামত পরীক্ষার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন।

আদলত আবেদনটির কাগজ-পত্র দেখে অনুমতি দেন।

তিনি জানান, ওই ১০ আলামতের মধ্যে আছে, কুরিয়ার সার্ভিসের কথা বলে জুলহাজের বাসায় নেওয়া দুটি কার্টন এবং ধরা পড়া ব্যাগের পিস্তল ও চাপাতিসহ অন্যান্য জিনিস।

জুলহাজ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আল কায়দার নামে বার্তা এলেও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।

জুলহাজের আগে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, শিক্ষক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশ ঘটনার দায় স্বীকারের বার্তা এসেছে আইএসের নামে। এসব দাবিও খারিজ করে সরকার বলে আসছে, বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো অস্তিত্ব নেই।

জুলহাজ ও তনয়কে খুন করে যাওয়ার সময় এক পুলিশ এবং এক নিরাপত্তাকর্মীকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে ডলফিন রোডের এক বাসার সিসিটিভিতে পাঁচ যুবককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দৌড়ে যাওয়া যুবকরাই লেক সার্কাস রোডে খুন করে সেই রাস্তা দিয়ে পালায়।

জুলহাজ হত্যা তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; খুনিদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনও করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খাঁন কামাল বলেন, জুলহাজ-তনয় হত্যার তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে।