রোববার শ্রম অধিকার দিবসে সাধারণ ছুটির দিনটিতে দিলকুশার নির্মাণাধীন ওই ভবনে কাজ চলছিল।
বিকালে সেখানে দুর্ঘটনায় স্বপন (১৮) ও হালিম (২২) নামে ওই দুই শ্রমিক নিহত হন বলে মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
নিহতদের মধ্যে স্বপন রাজমিস্ত্রির সহকারী (জোগালি) এবং হালিম ভ্যানচালক। ওই সময় তারা ভবনে রড তুলছিলেন।
ওসি বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দিলকুশা এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখার পাশের একটি পাঁচ তলা ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মতিঝিল থানার এসআই মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বপন, তার বড় ভাই সুমন এবং আরও দুইজন মিস্ত্রি ওই ভবনের চতুর্থ তলায় প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। ওই সময় হালিম লোহার রড নিয়ে ওই ভবনের উপরে ওঠার চেষ্টা করেন। তাকে চারজনের কেউ চিনতেন না।”
সুমনের বরাত দিয়ে এই পুলিশ সদস্য বলেন, “হালিম চার তলায় এসে ওই চারজনকে বলেন- লোহার কিছু মালপত্র তুলতে সাহায্য লাগবে। স্বপন যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অন্যরা চিৎকার শুনতে পান।”
এরপর ভবনের চার তলায় স্বপনকে পড়ে থাকতে দেখে সুমন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আর হালিম পড়ে ছিলেন নির্মাণাধীন ভবনের নিচে। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে দুজনকেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন জানিয়ে এসআই সালাউদ্দিন বলেন, “ওই ভবনে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন ব্যবহার হতো। স্বপনের শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন সেই। তবে তার এক হাতে বিদ্যুতের শক লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
মতিঝিল থানার এসআই নাসির উদ্দিন বলেন, “একজন ওই ভবন থেকে নিচে পড়ে যায়। আরেকজনকে ধরাধরি করে অন্যরা নিচে নামিয়ে আনে। একজনের শরীরে পড়ে গিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে, আরেকজনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।”
এসআই নাসিরেরও ধারণা, দুই শ্রমিকের একজনের মৃত্যু হয়েছে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে; আর অন্যজন ছিটকে নিচে পড়ে মারা যান।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।