শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকা থেকে ওই গাড়ি জব্দ করা হয়। গাড়িটির সঙ্গে কাউকে আটক করা যায়নি।
বিলাসবহুল এ গাড়ির মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা খবর পান এমপি স্টিকার ব্যবহার করে এমন একটি গাড়ি এয়ারপোর্ট রোডের খিলক্ষেতের চার তারকা হোটেল ঢাকা রিজেন্সির পার্কিংয়ে রয়েছে।
গাড়িটি কারনেট সুবিধা ব্যবহার করে বাংলাদেশে আনা হলেও আইন মেনে গাড়িটি আর বিদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। এমন তথ্য পেয়েই হোটেলটিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দারা।
তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় কেউ।ওই রাতে গাড়ি না পেয়ে হোটেলের বারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দারা। পরবর্তীতে সারা রাত গাড়ির সন্ধানে কাজ করেও তার খোঁজ মেলেনি।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মইনুল খান বলেন, “পরবর্তীতে শুক্রবার ও শনিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়িটির সন্ধানে অভিযান চলে। এক পর্যায়ে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় রেনজ রোভার গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়।
“শুল্ক গোয়েন্দা দল শনিবার বিকালে হাসপাতালের পার্কিং এলাকা থেকে সেটি জব্দ করে। জব্দের সময় গাড়িটিতে আগের এমপি স্টিকার পাওয়া যায়নি।”
অভিযানের কথা টের পেয়ে এমপি স্টিকারটি খুলে ফেলা হয় বলে ধারণা করছেন মইনুল।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের এই মহাপরিচালক বলেন, “অ্যাপোলো হাসপাতালে ফেলে যাওয়া গাড়িতে নম্বর প্লেটও পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো শ ০০-০১৫১। পরে অ্যাপোলোর পার্কিং এলাকাতে নম্বর বসানো হয়েছে ঢাকা মেট্টো ম ৫০৩। যদিও হাসপাতালের পার্কিং রেজিস্টারে এন্ট্রি আছে আগের নম্বর।”
গাড়িটিতে এমপি মনোগ্রাম থাকায় সংসদ সদস্যের প্রাধিকার অপব্যবহার করে কেউ গাড়িটির মাধ্যমে অন্য কোনো অসৎ কাজে জড়িত ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মইনুল খান বলেন, “হোটেল কর্তৃপক্ষকে এজন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। গাড়িটি কারনেট সুবিধায় শুল্কমুক্ত হিসেবে আনা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটি ফেরত নেয়নি।”
এই নিয়ে আরও গভীর তথ্য অনুসন্ধান করা হবে বলেও জানান তিনি।