জয় ‘অপহরণ চক্রান্ত’: জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিতে মাহমুদুর

প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণ চক্রান্তের মামলায় পাঁচদিনের হেফাজতে পাওয়ার পর দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2016, 01:49 PM
Updated : 29 April 2016, 01:49 PM

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মারুফ হোসেন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টায় মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা মাহমুদুর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

জয় অপহরণ চক্রান্তের মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হলো।

এর আগে এ মামলায় মাহমুদুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর গত সপ্তাহে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার এ বিষয়ে শুনানিতে মাহমুদুরের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ডের বিরোধিতা করে তার জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম গোলাম নবী জামিন নাকচ করে মাহমুদুরকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য পেতে ওই দেশে থাকা এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এফবিআইর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দেশটির আদালতে প্রমাণিত হয় গত বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের নথিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ক্ষতি করার জন্য তার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে আসামি এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলেন।    

ঘুষ দিয়ে তথ্য পাওয়ার পর সিজার তা বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে প্রায় ৩০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ঢাকার পল্টন থানায় পুলিশ একটি মামলা করে, যাতে সিজারের বাবা প্রবাসী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়। সেই মামলাতেই গত ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, জয়ের বিষয়ে চক্রান্তকারীদের সঙ্গে শফিক রেহমানসহ দুই-তিনজনের যোগাযোগ ছিল।

মাহমুদুর রহমানকেও যে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, তা ওই সময়ই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর আমার দেশের মালিকানা কিনে সম্পাদক বনে যান। ২০১৩ সালে ধর্মীয় উসকানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।