শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেইটে গ্রামীণফোন সেন্টারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অসন্তোষের কথা জানান তিনি।
তারানা বলেন, “আমি অপারেটরদের অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা এনআইডিগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য আঞ্চলিক অফিসে ডিভাইস রাখেন- যেন মানুষ এখানে (বায়োমেট্রিক পয়েন্টে) সমস্যা হলে ওখানে( এনআইডি কার্যালয়ে) গেল, থাম্ব প্রিন্টের সঙ্গে ম্যাচ হলো, ম্যাচ করার পর ভেরিফাইড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওখান থেকে তার কাজটা শেষ হয়ে গেল।
“এখানে আমি একটু অসন্তোষই প্রকাশ করতে চাই, অনেকক্ষেত্রে অপারেটরদের ডিভাইস কিন্তু আঞ্চলিক অফিসগুলোতে যায়নি; যেজন্য গ্রাহকদের কিছুটা হলেও ভোগান্তি হয়েছে। আমরা এখানে সত্য কথা বলতে এসছি, কারও দুর্বলতা ঢাকতে আসিনি।”
সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের ভোগান্তির অভিযোগের মধ্যে বিকালে ফার্মগেইট এলাকায় এই পরিদর্শনে আসেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
“এনআইডির সার্ভারে কোনো সমস্যা নাই। এনআইডির সার্ভারে আমি যতদূর দেখলাম, এনআইডির সার্ভার ঠিক আছে। অপারেটরদের দিক থেকে কোনো সমস্যা কি-না সেটাও দেখতে হবে।
“এনআইডি থেকে অপারেটরদের সার্ভার দেখবে, অপারেটররা এনআইডির সার্ভার দেখবে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে সাড়ে ৬ টার মধ্যে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার জানানোর কথা বললেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সিম নিবন্ধনে সময় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এই প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “একটা কাট-আপ অবশ্যই থাকবে। এটা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। এই যে এতো কষ্ট করে মানুষগুলো আসছে তাদের প্রতিও কিন্তু এক ধরনের অবিচার করা হবে যদি অনির্দিষ্টকাল ধরে এটা চলতে দেওয়া হয়।
নিবন্ধন না হওয়া সিমের তিন ঘন্টা বন্ধ রাখার যে ঘোষণা আগে ছিল- তা এনআইডি সমস্যার কারণে জটিলতায় পড়া এক কোটি ২২ লাখের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তা নাকচ করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা।
“তাদেরটা বন্ধ রাখার প্রশ্ন উঠে না। তারা চেষ্টা করেছেন, করতে চেয়েছেন, তাদেরটাতো আমাদের বন্ধ রাখার কারণ নাই।
“আমরা এনআইডি অফিসে যেতে বলেছি, তারা কিন্তু যাচ্ছেন। সবার সমস্যা আঙ্গুলের ছাপ না মেলার কারণে হয়নি। অনেকের সমস্যা জন্ম তারিখ ও তথ্যের অভাবসহ বিভিন্ন কারণের।”