শ্যালিকা পালানোয় শ্যালকদের দিয়ে সাবেক শিক্ষককে ‘মারধর’

সহপাঠীর সঙ্গে স্কুলপড়ুয়া শ্যালিকার পালানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক অধ্যক্ষ শ্যালকদের দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক শিক্ষককে মারধর করিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2016, 01:19 PM
Updated : 29 April 2016, 01:19 PM

ঢাকার উত্তরার এ এম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নূর ইসলাম প্রতিষ্ঠানের প্রধান শাখার অধ্যক্ষ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে বলেছেন, চাকরি ছাড়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। 

ঢাকায় এ এম স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনটি শাখা রয়েছে। এর মালিক আবু তাহের প্রধান শাখার দেখভাল করেন।

শ্যালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে গত বুধবার তিনি একটি জিডি করেছেন বলে তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান।

নূর ইসলাম শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবু তাহেরের শ্যালিকা এ এম স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তার এক সহপাঠীর সঙ্গে বুধবার রাতে পালিয়ে যায়।

“এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করে তাহের তার আরেক শাখার প্রিন্সিপাল জাকিয়া সুলতানার মাধ্যমে আমাকে বৃহস্পতিবার বাসায় ডেকে নিয়ে তার দুই শ্যালককে দিয়ে মারধর করেন।”

মোটা ‘জিআই’ তার ও কাঠ দিয়ে তাহেরের শ্যালকরা মারধর করেন অভিযোগ করে নূর ইসলাম বলেন, তাহের বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে নির্যাতন করেছেন।

শ্যালিকার পালানোর ঘটনায় অধ্যক্ষ কেন আপনাকে সন্দেহ করলেন- এমন প্রশ্নে নূর ইসলাম বলেন, “ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় দুই মাস তাকে টিউশনি করাই। যার সঙ্গে মেয়েটি পালিয়েছে সেও আমার ছাত্র।”

১০ মাস চাকরি করে গত জানুয়ারিতে এ এম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, “অধ্যক্ষ আবার ডাকলেও যোগ দেইনি। চাকরি ছেড়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।”

নূর ইসলামকে শ্যালকদের দিয়ে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আবু তাহের বলেছেন, তাকে বাসায় ডেকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের করেছেন।

ঘটনাটি ‘মিটমাট’ হয়ে গেছে দাবি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি আর কোনো কিছু বলব না, জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়ে গেছে।”

কীভাবে মিটমাট হয়েছে জানতে চাইলে তাহের বলেন, “শ্যালিকার সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের খোঁজ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করছি।”

এ বিষয়ে খবর প্রকাশ না করতে বার বার অনুরোধ করেন তাহের।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তেমন না, সমর্থক আছি।”

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জাকিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেক জানান, শ্যালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে আবু তাহের গত বুধবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।