আঙুলের ছাপ: সমাধানে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিস খোলা

প্রায় সোয়া কোটি মোবাইল গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলায় তা হালনাগাদ করতে তিন দিন রাত ১০টা পর্যন্ত থানা নির্বাচনী অফিস খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 04:26 PM
Updated : 28 April 2016, 04:26 PM

বৃহস্পতিবার সব উপজেলা নির্বাচন ও নিবন্ধন কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি উইংয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবারই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় ৩০ এপ্রিলের পর কয়েক ঘণ্টা সিম বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, এর পরে এই নিবন্ধন কীভাবে হবে সে বিষয়ে শনিবার জানানো হবে।

ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, মোবাইল অপারেটরগুলোর সব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

বুধবার পর্যন্ত দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটরের সাত কোটি ৭৯ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন হয়েছে।

এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ না মেলায় সিম পুনঃনিবন্ধন করতে পারেননি প্রায় সোয়া এক কোটি গ্রাহক।

তারানা হালিম বলেন, “আরও ১ কোটি ২১ লাখ এসেছিলেন, তারা নানা ধরনের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা বা ভুলভাবে নম্বর দেওয়ার কারণে ম্যাচ করেনি। ধরে নিচ্ছি তারা জেনুইন এবং তারা এসেছিলেন।”

৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত মোবাইল অপারেটরদের সেবা কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচনী অফিসও খোলা থাকবে।

মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে এনআইডি উইংয়ের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিল।

“এজন্য রাত ১০টা পর্যন্ত সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস খোলা রেখে সিম নিবন্ধনে যাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সমস্যা দেখা দেবে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করে ‘আপলোডার সফটওয়ার’ ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে ডাটা আপলোড করতে হবে।”

যাদের ‘আপলোডার কনফিগারেশন’ সমস্যা আছে তাদেরকে আইটি শাখার সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি উইং)।

এনআইডি উইং মহাপরিচালক ব্রিগেডিংয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামন মো. সালেহ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আঙুলের ছাপ না মিললে কোনো নির্বাচনী অফিস সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অফিস হেল্প সেন্টারের ১৬১০৩ নম্বরে ফোন করতে পারেন গ্রাহক। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।”