জবাব দিতে মন্ত্রী নেই, নোটিস তুলতে নেই এমপিও

একদিকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নেই মন্ত্রী, অন্যদিকে নোটিস উত্থাপনের জন্য অনুপস্থিত সংসদ সদস্য- এমন ঢিলেঢালাভাবেই বৃহস্পতিবার চললো সংসদ অধিবেশন।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 03:28 PM
Updated : 28 April 2016, 03:28 PM

সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে এদিন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুপস্থিত ছিলেন।

নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনুপস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয় সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম ও তানভীর ইমামের দেওয়া দুটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত নোটিস।

প্রশ্নোত্তরপর্বে  মন্ত্রী মেননের জবাব দেওয়ার জন্য সাতটি তারকা চিহ্নিত (মৌখিক উত্তর দেওয়ার জন্য) প্রশ্ন এবং আটটি লিখিত প্রশ্ন নির্ধারিত ছিল।

প্রশ্নোত্তরে প্রথম প্রশ্নটি (৩৩৩ নম্বর) ছিল বিমানমন্ত্রী মেননের জন্য। প্রশ্নকর্তা ছিলেন আয়েন উদ্দিন। বিমানমন্ত্রীর কাছে পরের দুটি প্রশ্ন ছিল সরকারি দলের ওয়াসিকা আয়শা খান ও সেলিনা বেগমের।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশ্নোত্তরপর্বের নির্ধারিত এক ঘণ্টায় এই তিনটি প্রশ্ন নিশ্চিতভাবে উঠলে মন্ত্রীর অনুপস্থিতি আলোচনায় উঠবে জেনে হুইপরা অধিবেশন শুরুর পরপরই আয়েন উদ্দিন, ওয়াসিকা আয়শা খান ও সেলিনা বেগমকে অধিবেশন কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।”

তার আগে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তরপর্বে এসে তিনি প্রশ্নকর্তা আয়েন উদ্দিন, ওয়াসিকা আয়শা খান ও সেলিনা বেগমকে অনুপস্থিত দেখতে পান। যে কারণে তাদের প্রশ্ন নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি।

এর বাইরে সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রাগপুরে স্থল বন্দর স্থাপনের জন্য, শফিকুল ইসলামের নাটোরে ওয়াজেদ মিয়া নামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কৃষি কলেজ স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

কিন্তু নোটিস সংশ্লিষ্ট নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ অনুপস্থিত থাকায় দুই সংসদ সদস্যদের নোটিস স্থগিত করা হয়।

অন্যদিকে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে বেড়িবাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব এনে নিজেই উপস্থিত ছিলেন না।

এ ছাড়াও ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোটিস দিয়ে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না। তারা হলেন আনোয়ারুল আবেদীন খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোস্তাফা রশিদী সুজা, সামশুল হক চৌধুরী, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইয়াসিন আলী ও শাহজাহান কামাল।

এই অনুপস্থিতি নিয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “সামনে তিন দিন বন্ধ। তাই অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন। সে জন্যই অনুপস্থিত আছেন।”

এত অনুপস্থিতির মধ্যেই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।