র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে জিয়ার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন র্যাব-১১ এর প্রধানের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার লতিফ খান।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জিয়া কর্নেল থেকে পদোন্নতি পেয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছেন। অন্যদিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেকে কর্নেল হয়েছেন আনোয়ার লতিফ।
বৃহস্পতিবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন কর্নেল আনোয়ার লতিফ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দেন ব্রিগেডিয়ার জিয়াউল আহসান।
সন্ত্রাস দমনে পুলিশের অধীনে গঠিত বিশেষ বাহিনী র্যাবের দ্বিতীয় শার্ষ পদ অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব আড়াই বছর আগে নিয়েছিলেন জিয়া। এই সময় সংঘটিত নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি।
জিয়াউল আহসান ২০০৯ সালে ৫ মার্চ র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হিসাবে এই বাহিনীতে যোগ দেন। তখন তিনি মেজর পদমর্যাদায় ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ওই বছর ২৭ অগাস্ট র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) দায়িত্ব নেন।
জিয়া ১৯৯১ সালের ২১ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক কর্মকর্তা হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও স্কাই ডাইভার।
র্যাবে কর্মরত থাকাকালে তিনি দুবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক এবং দুবার প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক পান।
র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, জেএমবি, হুজি, আনসারুল্লাহসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতা, সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, ‘মাদক সম্রাট’ আমিন হুদাসহ অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তারে প্রধান ভূমিকা ছিল জিয়ার।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকের লুট হয়ে যাওয়া ১৬ কোটি টাকা উদ্ধার, বিভিন্ন হাসপাতালে নবজাতক চুরি ও কেনা-বেচা রোধ, ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও জিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করা হয়।
নতুন অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ ২০১২ সালের ১৩ মে র্যাবে যোগ দেন। তিনি র্যাব-১১ ছাড়াও র্যাব-৫ এবং র্যাব-৭ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২৬তম বিএমএ লং কোর্সে ১৯৯২ সালের ৯ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন আনোয়ার লতিফ।
চাকরি জীবনে তিনি ৩, ৪, ১৪ ই বেঙ্গল রেজিমেন্ট, পিজিআর এ স্টাফ অফিসারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনে স্টাফ অফিসার (অপারেশন) গ্রেড-২ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।