সোমবার বিকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যারা পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করে, বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানের বিরোধীতা করে, তাদেরকে আমি বলব- তারা এক ধর্মে বিশ্বাসী হয়েও বিভিন্ন, জাতি, গোষ্ঠী, ভাষায় ভাগ হয়ে আছে।
“কোরআন এবং হাদীসে আছে, দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। যার দেশপ্রেম নেই তিনি ঈমানী মুসলমান নন। পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না। ঈমান নষ্ট হয়না।”
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সমাবেশের আয়োজন করে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট।
পহেলা বৈশাখে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বন্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন ওলামা লীগের আহ্বানের দুদিনের আয়োজিত এ সমাবেশে জাসদ একাংশের সভাপতি ইনু বলেন, “আজকে যারা এ উৎসবের বিরোধিতা করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলব, পহেলা বৈশাখ কোনো দোদ্যুল্লপনা নয়।
“পহেলা বৈশাখ পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দেশজ সংস্কৃতির চর্চা করবে। আর দেশজ সংস্কৃতিতে আমি লালিত না হলে, পক্ষে ধারণ না করলে আমার ইমান দুর্বল হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কখনো রক্তাক্ত আফগান কিংবা পাকিস্তানের পথে যাবে না। বাংলাদেশ বাংলাদেশের পথেই থাকবে। বাংলাদেশের পথ হচ্ছে আউল-বাউল, লালন-হাসন রাজা, নজরুল-রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রহমান, সাংস্কৃতিক উৎসব এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্মিলিত পথ।
“বাঙালির এসব দেশজ সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম দৃঢ় হবে। দেশ যেন সমৃদ্ধির পথে চলতে পারে, এজন্য বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের চিহ্ন দেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।”
আয়োজক জোটের সভাপতি সাইফুল আজম বাশারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, নাট্যজন এস এম মহসীন, স্বাধীন বংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, জোটের সদস্য সচিব আবদুল মতিন ভূঁইঞা বক্তব্য দেন।
আলোচনা পর্ব শেষে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।