সিম নিবন্ধন নিয়ে রায় মঙ্গলবার

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের বিষয়ে হাই কোর্টের রায় জানা যাবে মঙ্গলবার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2016, 12:37 PM
Updated : 10 April 2016, 12:37 PM

এ বিষয়ে দেওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। মোবাইল ফোন অপারেটর রবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফতেমা আনোয়ার।

অনীক আর হক পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে, আদালত মঙ্গলবার রায়ের দিন নির্ধারণ করেছে।”

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এস এম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন, যা ১৪ মার্চ  শুনানির জন্য ওঠে। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওইদিন আদালত রুল দেয়।

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের ডিজি, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোসহ ১৩ বিবাদীকে এর জবাব দিতে বলা হয়।

এই রুলের ওপর ৩ ও ১০ এপ্রিল শুনানি হয় বলে অনীক আর হক জানান।

গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।

ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া।

রিট আবেদনকারীর অপর আইনজীবী মুক্তাদির রহমান রুলের পর বলেছিলেন, “দেশের ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে পাঁচটির মালিকানাই বিদেশিদের হাতে। দেশের ৯৭ শতাংশ গ্রাহকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে।  আমরা জানি না, এসব তথ্য নিয়ে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে এই রিট আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি সে সময় বলেছিলেন, তৃতীয় পক্ষের বদলে যদি সরকার ওই তথ্য নেয়, তাহলে তাদের আপত্তি নেই।