মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রাহকের আঙুলের ছাপের অপব্যবহার করলে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সিম নিবন্ধনের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিয়ে জনগণের সংশয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রিসভা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করল- ভয়ের কিছু নেই। আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছি। আপনারাও (সাংবাদিক) জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারেন-ফিঙ্গারপ্রিন্টের কারণে কারও ক্ষতি হবে না।
“এটার যদি মিসইউজ হয়, তাহলে অপারেটরদের জন্য বড় শাস্তি আছে। তাদের তিনশ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।”
সচিব বলেন, সিম পুনঃনিবন্ধনে চারটি আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। নাগরিকদের আঙুলের যে ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিতে আছে, তা মিলিয়ে দেখতেই এ ব্যবস্থা। মোবাইল অপারেটররা এই ছাপ সংরক্ষণ করবে না।
“নাগরিকদের কোনো হয়রানির শিকার হওয়া, এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট অন্য কোনো কাজে লাগানো বা তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে টানা-টানির কোনো সম্ভাবনা নেই।”
কোন আইনে মোবাইল অপারেটরদের ওই জরিমানা করা যায় জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অপারেটরদের দেওয়া লাইসেন্সেই এ বিষয়ে বলা আছে।
গত ডিসেম্বরে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি পুরনো সিমও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধন করতে হচ্ছে; এ জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
অবশ্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের হাতে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য কতোটা নিরাপদ- তা নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে এই নিবন্ধন কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়ে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করায় আদালত এ বিষয়ে একটি রুলও জারি করেছে।