ভারত-বাংলাদেশ ‘নতুন নিরাপত্তা কাঠামোর’ সুপারিশ

ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো মোকাবেলায় দুই দেশের মধ্যে  ‘একটি নতুন নিরাপত্তা কাঠামো’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন একজন শীর্ষ ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক।    

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2016, 01:01 PM
Updated : 27 March 2016, 02:55 PM

সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ে দশটি বইয়ের লেখক জয়দীপ সাইকিয়া রোববার ঢাকায় আয়োজিত এক সম্মেলনে মিয়ানমারকেও এই নিরাপত্তা কাঠামোতে যুক্ত করার পরামর্শ দেন।   

আসামের সন্তান সাইকিয়া বাংলাদেশের ভূখণ্ডে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।    

বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনি ও কলকাতার সেন্টার ফর ইস্ট অ্যান্ড নর্থ-ইস্ট রিজিওনাল স্টাডিজ যৌথভাবে বাংলা একাডেমিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

সরকারের মন্ত্রী, শিক্ষাবিদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও দুই দেশের সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক এ সম্মেলনে অংশ নেন।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতা নিয়ে একটি পর্বে সাইকিয়া বলেন, শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে।    

ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সশস্ত্র সদস্যরা বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে আসামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল ভারতের। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজন উলফা নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ভূমিকার জন্য ভারত সরকারও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে আসছে। 

গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সীমান্তে যৌথ টহল এবং আসামি প্রত্যর্পণ আইন করে অপরাধীদের হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হয়েছে বর্তমান সরকারের সময়ে।     

সাইকিয়া বলেন, “দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তি কি হবে, তা এখন স্পষ্ট। মিয়ানমারে এখন নতুন সরকার এসেছে, তাদেরও এতে সম্পৃক্ত করা যায়।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপানার উন্নয়ন ও দুই দেশের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে তিনি একটি জয়েন্ট টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করেছেন, যেখানে দুই দেশের গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরাও থাকবে।   

দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ মহড়ার আয়োজন এবং সমুদ্র সীমার নিরাপত্তায় একটি যৌথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলারও সুপারিশ করেছেন সাইকিয়া।   

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহি চৌধুরী সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ওপর জোর দেন।  

বিমান বাহিনীর এই সাবেক কর্মকর্তাও সন্ত্রাস দমনে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যৌথ মহড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।