মঙ্গলবার রায়ের পর এক বিবৃতিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বিচার বিভাগ কি আসলেই স্বাধীন?”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজনকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির রায় এসেছে। আরও ছয় অভিযোগে হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও দলটির ‘অর্থ যোগানদাতা’ মীর কাসেম এখন কেবল ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। তা নাকচ হয়ে গেলে এবং রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষা না পেলে তাকে ফাঁসির দড়িতেই ঝুলতে হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আয়েশা খাতুন বলেন, “মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য প্রমাণ আনা হয়েছে, তা কোনোভাবেই অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট নয়, যাহা মামলার যুক্তিতর্ক চলার সময়ে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন মন্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়।
“সুতরাং মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার মতো কোনো আইনগত ভিত্তি নাই।”
মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে প্রধান বিচারপতিকে ‘হুমকি, ধামকি’ দিয়েছেন এবং রায় প্রকাশের আগ মুহূর্তে ‘আদালত বার বার সিদ্ধান্ত বদলেছে’ অভিযোগ করে আয়েশা বলেছেন, এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এই রায়ে ‘ন্যায়বিচার বঞ্চিত’ হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেলে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে।