বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার সঙ্গে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের ঘটনাগুলো লক্ষ করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন আলোচনায় মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে ডেইলি স্টারে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল’।
ওই সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ প্রসঙ্গ তুলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০০৭ সালের ১/১১ এর সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত কিছু সংবাদ যাচাই না করে ছাপার জন্য তিনি (মাহফুজ আনাম) দুঃখ প্রকাশ করে যে বিরল পেশাগত মূল্যবোধের পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য তাকে প্রশংসিত না করে নানাভাবে হেনস্থা করার এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, বেদনাদায়ক ও হতাশাব্যাঞ্জক বলে আমরা মনে করছি।”
বদিউল আলম মজুমদার ও শাহদীন মালিকের স্বাক্ষরে আসা ওই বিবৃতিতে ড. আকবর আলী খান, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, এটিএম শামসুল হুদা, হোসেন জিল্লুর রহমান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আসিফ নজরুল, লুবনা মরিয়মসহ ৩৫ জনের নাম রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা অবিলম্বে মাহফুজ আনাম ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার ও মিথ্যাচার বন্ধের এবং তার বিরুদ্ধে আনীত হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
“একইসঙ্গে স্বাধীন সংবাদ প্রচারে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধে কী ধরনের আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতষ্ঠিত করা প্রয়োজন তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।”