বিপিএল স্টলে ‘রবীন্দ্রনাথের জমিদারগিরি’, অপেক্ষায় ‘গোল্ডেন বাউ’

আঙ্গিকে নতুনত্ব ও বিষয় বৈচিত্র্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড (বিপিএল) এবারের মেলায় পাঠকদের জন্য এখন পর্যন্ত চারটি বই এনেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2016, 03:42 PM
Updated : 17 Feb 2016, 03:47 PM

স্যার জেমস্ জর্জ ফ্রেজারের লেখা নৃবিজ্ঞানের বিখ্যাত বই ‘গোল্ডেন বাউ’ আসছে বৃহস্পতিবার। ইংরেজির অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বইটি অনুবাদ করেছেন।

দেশ-বিদেশের ছয়টি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগ সংকলন ‘নগর নাব্য’ও বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বিপিএলের স্টলে। তবে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে শুক্রবার।

বিপিএল থেকে যে চারটি বই বেরিয়েছে তার মধ্যে ‘রবীন্দ্রনাথের জমিদারগিরি’ রয়েছে।  

কুলদা রায় ও এম আর জালালের লেখা এই বইয়ে রবীন্দ্রনাথের কথিত প্রজা-নিপীড়ন, বঙ্গভঙ্গে তার ভূমিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার কথিত বিরোধিতা, অন্যের সুর চুরির অভিযোগ ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অভিযোগ খণ্ডনের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের একটা সম্যক চিত্রও তুলে আনার চেষ্টা করেছেন লেখকরা।

বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে (পুকুর পাড়) বিপিএলের স্টল।

এছাড়া সনৎকুমার সাহার প্রবন্ধ সংকলন ‘বাংলাদেশ ভাবনা দুর্ভাবনা’, ১৫টি গল্প নিয়ে জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের ‘জীবনানন্দের খোঁজে’ এরইমধ্যে মেলায় এসেছে। অন্বেষা মমতাজ অনূদিত হেনরি জেমসের ফিকশন ‘দ্য টার্ন অব দ্য স্ক্রু’ও বিপিএলের স্টলে পাবেন পাঠকরা।

গোল্ডেন বাউ-এর অনুবাদক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সামাজিক নৃবিজ্ঞান, সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান ও সমাজতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞানের প্রথম দিককার বই এটি। এরপরে নৃবিজ্ঞানের অনেক বই বেরিয়েছে।

“কিন্তু এটাকে প্রথম দিককার একটা মাইলফলক বিবেচনা করা হয়।”

অধ্যাপক খালিকুজ্জামান জানান, স্যার জেমস্ জর্জ ফ্রেজারের এই বই প্রথম ১৮৯০ সালে দুই খণ্ডে ছাপা হয়। পরে ১৯১৫ সালে ১২ খণ্ডে বইটি প্রকাশিত হয়।

১৯২২ সালে এক খণ্ডে বইটির একটি সংক্ষেপিত সংস্করণ বের হয়। এই সংস্করণটাই অনুবাদ করেছেন তিনি।

“গত ১৫ বছর ধরে বইটি আমার হাতের কাছে ছিল। বিভিন্ন সময়ে একটু একটু অনুবাদ করেছি। তবে মাঝে ৫ বছর একেবারেই ধরতে পারিনি।

“বাংলা একাডেমির উত্তরাধিকার পত্রিকায় ছাপানো শুরু হলে কাজে কিছুটা গতি আসে। চল্লিশেরও বেশি সংখ্যায় এর একটা অংশ ছাপা হয়। পরে বাকি কাজ শেষ করে আমি বিপিএলকে বইটা দেই।”

গত বইমেলায় মোট ১৪টি বই প্রকাশ করেছিল বিপিএল। পরে আরও একটি বই প্রকাশ করা হয়।