বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ঢাকার আঁগারগাঁওয়ে বাহিনীর সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশা প্রকাশ করে বলেন, “কোস্ট গার্ডের দায়িত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
“কোস্ট গার্ড সদস্যরা ইতোমধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে, দক্ষতা দিয়ে জনগণের যে আস্থা অর্জন করেছে- তা ধরে রাখতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে প্রশিক্ষণে। পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সচেষ্ট থাকতে হবে।”
গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে বাহিনীর ১৬ জন কর্মকর্তা, ১২ জন নাবিক ও তিন জন বেসামরিক কর্মচারীকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে বদ্ধপরিকর। তাদের উন্নয়নে তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্বল্পতম সময়ে সুবিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কৃতিত্বের দাবিদার কোস্ট গার্ডের সব সদস্য।
“শুধু দেশে নয়, বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজের সুফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।”
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, কোস্ট গার্ডকে যুগপোযোগী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জনবল দুই বছরে ২,২২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩,৩৩৯ জনে উন্নীত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সাগারের বিশাল এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্লু ইকোনমি’র সম্পদের নিরাপত্তা প্রদানে কোস্ট গার্ড অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে, যা অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোজাম্মেল হক, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল এম মকবুল হোসেন ও র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।