বাংলালিংক ইউনিয়নের আন্দোলনরত নেতা হাসপাতালে

কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের আন্দোলরনরত এক ইউনিয়ন নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2016, 09:03 AM
Updated : 14 Feb 2016, 12:01 PM

মো. মোস্তাক নামের ওই কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটির পাওয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার ও বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক।

তাকে রোববার দুপুরে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে উজ্জ্বল বলেন, “বাংলালিংকের ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটর মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সেলিম কবির, সিকিউরিটি ম্যানেজার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শেখ মঈনুল হাসান ও হেড অব অপারেশনস মারুফ আহমেদ বেলা ১২টার দিকে মোস্তাককে অফিস ভবনের লেভেল থ্রিতে ডেকে নিয়ে যান।

“তারা তাকে ‘ইন্টারোগেট’ করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে মোস্তাক ‘সেন্সলেস’ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমাদের কাউকে ধরতে দেওয়া হয় নাই।”

দুপুরে  ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড.মাহবুবুর রহমান জরুরি বিভাগে মো. মোস্তাককে পরীক্ষা করছেন।

মোস্তফার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার শাহেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাকে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।”

হাসপাতালে উপস্থিত বাংলালিংকের চিকিৎসক মেহেরুন রুনি বলেন, “উনার আগে থেকেই হাইপার টেনশন ছিল বলে তার স্ত্রী জানিয়েছেন। সকালে ব্লাড প্রেশার ছিল ১৮০/১০০। ইউনাইটেডের চিকিসকরা তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন।”

মোস্তফার স্ত্রী সে সময় হাসপাতালে মঞ্জুর নামে বাংলালিংকের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন। 

তিনি বলেন, “সকালে ফোন করে বলল, ওর নাকি চাকরি থাকবে না। আমি বলেছি, আল্লাহ ভরসা। তুমি কোনো চিন্তা করো না।”

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উজ্জ্বল জানান, রোববার অফিসের কর্মঘণ্টা শুরুর আগে কর্মচারী ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অফিস শুরু হলেও শনিবার রাতে এক আদেশে কর্তৃপক্ষ তা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনে।

এই প্রেক্ষাপটে কর্মসূচি স্থগিত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে তারা ইউনিয়নের বৈঠকে বসার অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানান উজ্জ্বল।

বাংলালিংকের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামের চাকরিচ্যুতির পর থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বিরোধ চলছে কর্মচারী ইউনিয়নের।

এর জের ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) পিরিহেনি এলহামিকে প্রায় ৯ ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখেন তারা।

রোববার বৈঠক করে শরিফুল ইসলামের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ার পর ওইদিন গভীর রাতে অবস্থান তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।