বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হবে শেখ হাসিনার নামে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ঢাকায় দেশের প্রথম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নামকরণ করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2016, 08:28 AM
Updated : 14 Feb 2016, 10:59 AM

রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এই ইনস্টিটিউট করব। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নামে কিছু করতে গেলে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি নিতে হয়। আমরা সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছি। আশা করছি, আমরা সম্মতি পাব।”

মন্ত্রী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে চানখাঁরপুলে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সংলগ্ন জমিতে এ ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“সম্ভব হলে সেখানেই এ প্রতিষ্ঠান হবে। আগামী মাসেই প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আমরা আশা করছি।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত লাল সেনও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ছয়টি বেড নিয়ে বার্ন বিভাগ চালু করেন দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অধ্যাপক সামন্ত লালের চেষ্টায় ২০০৩ সালে সেটি ৫০ বেডের পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসেবে কাজ শুরু করে।

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৭ জনের মৃত্যুর পর বার্ন ইউনিটের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এ ইউনিটের বেড বেড়ে প্রথমে ১০০ ও পরে ৩০০ হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে দেশগুড়ে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হাজার হাজার রোগী এই বার্ন ইউনিট থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন।   

সামন্তলাল সেন এর আগে জানিয়েছিলেন, দেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ছয় লাখের বেশি লোক দগ্ধ হন। তাদের চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫২ জন।

এসব বিষয় বিবেচনা করেই দুই বছর আগে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির উন্নত চিকিত্সার জন্য বিশ্বমানের একটি ইনস্টিটিউট নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয় এবং চানখাঁরপুল টিবি হাসপাতালকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করে ওই জমিতে ৫০০ শয্যার এই ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়।  

এই ইনস্টিটিউট হলে প্রয়োজনে আটশ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলে সামন্ত লাল জানান।