এ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনের ‘নিঃশঙ্ক সমর্থক’ অভিহিত করেছেন তিনি।
ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট এসব বলেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জর্ডান থেকে জাপান যাওয়ার পথে রোববার প্রথম প্রহরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাহমুদ আব্বাসের যাত্রাবিরতির সময় তাদের এ বৈঠক হয়।
রাত পৌনে ১টার দিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘণ্টাখানেক পর টোকিওর পথে যাত্রা করেন মাহমুদ আব্বাস।
বাংলাদেশ সরকার সবসময়ই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও তার জনগণের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসেছে। ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের পক্ষেও কথা বলে আসছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলিদের ‘নৃশংসতা’র পাশাপাশি দীর্ঘ দিন অচলাবস্থায় থাকা শান্তি আলোচনার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে অবহিত করেন আব্বাস।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বাধীন স্বভূমের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ‘বন্ধুত্ব’ প্রত্যক্ষের জন্য ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিক, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রোদিনি, কূটনীতি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা মাজদি আল খালিদী, অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা মুস্তাফা আবু আল রব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং ঢাকায় আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরাও বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান।