সম্পর্ককে ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যেতে চান টমাস শ্যানন

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে দেখে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাজনীতি বিষয়ক নতুন আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যানন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2016, 03:13 PM
Updated : 13 Feb 2016, 07:46 PM

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বৈঠক তিনি একথা বলেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
 

গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার বজায় রাখার প্রশংসা করে শ্যানন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাপকাঠিতে গণতন্ত্র একটি অন্যতম বিষয়।
 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছেন।

শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন শ্যানন। এর আগে আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর ডিসেম্বরে ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া সফর করেন তিনি।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন শ্যানন। 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও দক্ষিণ এশিয়া সফরে বাংলাদেশকে প্রথম লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে শ্যানন নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে দুই দেশের চলমান সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

দুই দেশ চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দুই দেশের সম্পর্কে আরও এগিয়ে নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।”

এছাড়া সারা বিশ্বে আইএসের হুমকি, জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি ও লেখক-প্রকাশক হত্যাকাণ্ড বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

থমাস শ্যাননের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে এক বৈঠকে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এছাড়া হোয়াইট হাউজে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক পিটার ল্যাভয়ের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন তিনি।

এ সময় নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।