আটকদের মধ্যে সালমা নামে এক নারীর নাম জানালেও বাকি তিনজনের নাম পরিচয় জানায়নি র্যাব। তবে আটক বাকিদের মধ্যে সালমার স্বামী এবং নবজাতক বিক্রির সঙ্গে জড়িত এক নারী ও এক পুরুষ দালাল রয়েছে।
র্যাব-৩ এর মেজর মো. কামরান কবির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকালে শান্তিবাগের মাশাল্লাহ মেনশন নামে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার ও চারজনকে আটক করা হয়।
আটক সালমা উদ্ধার করা ওই নবজাতককে বিক্রির চেষ্টা করছিল খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি।
মেজর কামরান বলেন, লালন পালনের কথা বলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার মীনা নামের এক নারীর ওই সন্তানকে নিয়ে আসে সালমা। তবে লালন-পালন নয়, অন্যত্র বিক্রি করতেই মীনাকে মিথ্যা বলে সালমা শিশুটিকে নিয়ে আসে বলে জানতে পারে র্যাব।
সালমা আগে ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ করত। বর্তমানে বিভিন্নভাবে নবজাতক সংগ্রহ করে বিক্রি করাই তার পেশা বলে দাবি করেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কামরান বলেন, “নবজাতকের মা মীনার কাছে সালমা নিজেকে বন্ধ্ব্যা বলে পরিচয় দেয়। এরপর মা হিসেবে নিজের ছেলের মতো লালন পালনের কথা বলে দুই দিনের ওই নবজাতককে নিয়ে আসে।
“তবে মীনাকে টাকা দিয়ে নবজাতকটি এনেছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি।”
এভাবে সালমা তার স্বামীকে নিয়ে গরীব নারীদের কাছ থেকে নবজাতক এনে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এক লাখ টাকায় শিশুটিকে অন্যত্র বিক্রির সময় দুই দালাল ও সালমার স্বামীসহ চারজনকে আটক করা হয়।”
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে র্যাব কর্মকর্তা মেজর কামরান।