বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই আহ্বান জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা যদি মন্ত্রী হিসাবে জানতে না চেয়ে আইনজীবী হিসাবে জানতে চাইতেন। তাহলে আমি বলতাম, তদন্ত জিনিসটা খুব কঠিন। ‘ক্লুলেস’ খুন হলে তার সমাধান করা তদন্তকারীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।
“৪৮ মাস চলে গেছে বলে বিচার বা তদন্ত শেষ গেছে তা না। যতক্ষণ ধরা না পড়বে ততক্ষণ তদন্ত চলবে। কিছু অপরাধ আছে খুব তাড়াতাড়ি বের করা যায়, কিছু অপরাধ আছে যায় না। তবে আপনাদের প্রতি আহ্বান আশা ছাইড়েন না।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
ওই বাসায় বাবা-মায়ের লাশের সঙ্গে শুধু তাদের শিশু সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘকেই পাওয়া গিয়েছিল। অপেশাদার খুনিরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে দুজনকে হত্যা করেছিল বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সামনে বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে; যার বাস্তবায়ন না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র্যাব। এখনও তারাই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পেরুনোর একদিন আগে বুধবার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব হত্যাকাণ্ডেরই যে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায়, তা নয়। স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে সময় লাগে।
“সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড একটি স্পর্শকাতর মামলা। এ কারণে এর রহস্য উদ্ঘাটনে একটু সময় লাগছে। র্যাব আন্তরিকভাবেই কাজ করছে।”
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে প্রায় প্রতি মাসেই একবার করে তদন্তের ‘অগ্রগতি প্রতিবেদন’ দিয়ে যাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
ডিবির দুজনের হাত ঘুরে র্যাবের দুজন এই তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন। ওই চার জনের পর এখন র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ চালাচ্ছেন তদন্ত।