ঢাকার নয় নম্বর জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার আর্জি নিয়ে যান।
মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ওই আবেদন শুনে সরকারের অনুমোদন নিয়ে তদন্ত করে কোতোয়ালি থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল জানান, আদালত আগামী ২৮ মার্চ এ প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ঠিক করে দিয়েছে।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তার ওই স্বীকারোক্তির পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও ডেইলি স্টার ও পত্রিকাটির সম্পাদকের ওই ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হন।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মাহফুজ আনামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং ইংরেজি এই দৈনিকটি বন্ধের পাশাপাশি মাহফুজ আনামের বিচার দাবি করেন কয়েকজন সংসদ সদস্য।
ওই ঘটনায় এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনা ও লক্ষ্মীপুরে এবং বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের আদালতে মানহানির তিনটি মামলা হয়েছে।
ঢাকায় দায়ের করা অভিযোগে বাদী মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল বলেছেন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে নেতৃত্বশূন্য করার হীন চেষ্টায় একটি এজেন্সির এজেন্ডা বাস্তবায়নে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য ওই পত্রিকায় মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।”
শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে ‘সরাতেই’ মাহফুজ আনাম তার পত্রিকায় ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ তথ্য প্রকাশ করেন অভিযোগ করে আর্জিতে বলা হয়েছে, এটা “হলুদ সাংবাদিকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। ক্ষমতার অতি লোভে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তিনি এ কাজ করেছেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, সাংবাদিক গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসুলসহ বিভিন্ন পত্রিকার একাধিক প্রতিবেদককে এ মামলার আবেদনে সাক্ষী করা হয়েছে।