বুধবার ঢাকার জিগাতলায় বেসরকারি এই হাসপাতালে অভিযানে গিয়ে একটি নির্জন কক্ষ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দেড় বছর বয়সী শিশু সুমাইয়া সাবাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এনে সোমবার এই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তার মা।
মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে সকালে তাকে জানানো হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে অভিযানে যায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযানের সময় হাসপাতালের একটি নির্জন কক্ষে দেড় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়। শিশুটি মঙ্গলবার সকালেই মারা যায়।
“ওই শিশুর মা হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও তাকে বা শিশুর স্বজনকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার নামে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে শিশুটির মাকে জানায়।”
হাসপাতালের চিকিৎসকরাই আগের দিন সকালে শিশুটির মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ঘটনাসহ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালটিতে অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে শিশু রোগের চিকিৎসা, বায়োকেমিস্ট না থাকা, সনদহীন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে কাজ চালানো এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও সেবিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে জানান হেলাল উদ্দিন।
এছাড়া কর্তৃপক্ষ অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি করছিল জানিয়ে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “এসব দোষ স্বীকার করায় কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।”