ইউসুফ মিয়া ও শহীদুল ইসলাম বুধবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিন আবেদন করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহজাদী তাহমিদা দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন দেন।
আলোচিত এ মামলায় এই প্রথম দুই আসামি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেলেন বলে এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান।
এই দুজনকে নিয়ে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ আসামির মধ্যে ১৮ জন জামিনে গেলেন। কারাগারে আছেন ১১ জন। বাকিরা পলাতক বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাবুল জানান।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যন্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন, আহত হন আরও হাজারখানেক শ্রমিক যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পর গত জুনে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ, যার একটিতে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে ইমারত পরিদর্শক আওলাদ হোসেন গত সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম আদালতে জামিন শুনানিতে বলেন, এজাহারে কারখানার পরিদর্শক ইউসুফ ও শহীদুলের নাম নেই। বিভাগীয় তদন্তে তাদের কোনো দোষ পাওয়া যায়নি।
“তাদের কেউ ভবন নির্মাণের কোনো কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।”