শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন পেট্রোলিয়াম আইনের প্রস্তাব সংসদে

আইন লঙ্ঘনে শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন পেট্রোলিয়াম আইন করার প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 01:40 PM
Updated : 10 Feb 2016, 01:40 PM

বুধবার ‘পেট্রোলিয়াম বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 

গত বছরের জুলাই মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

১৯৩৪ সালের পেট্রোলিয়াম আইনটি সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালে সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেই অধ্যাদেশটি বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে। 

বিলে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহন এ আইনের আওতায় বিধিমালা দিয়ে পরিচালিত হবে।

এতে এই আইনের অধীনে করা অপরাধের দণ্ড বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহনে কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার সংবাদ না দিলে তিন মাস পর্যন্ত জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বিলে এই অপরাধে ছয় মাস পর্যন্ত জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।এছাড়া একই অপরাধ পুনরায় করে শাস্তির মাত্রা দ্বিগুণ হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।

পেট্রোলিয়াম উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ, রিসাইক্লিনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার ইত্যাদি বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। পেট্রোলিয়াম কন্টেইনারে সতর্কবাণী দিতে হবে।

পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহন, বিতরণ, শোধনে কেউ যদি আইনের লঙ্ঘন করে তাহলে শাস্তির বিধান বিধান রাখা রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহন স্থানে অনুসন্ধান এবং জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে পেট্রোলিয়াম দুই শ্রেণিভুক্ত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি। প্রস্তাবিত আইনে আরেকটি শ্রেণি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।