বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এ দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশে সরকারি চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। এখন অবসর, পিআরএল ও চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হাতে গোনা কয়েক হাজার।
“বর্তমানে সরকারি চাকরির পদ খালি আছে আড়াই লাখেরও বেশি। এর বিপরীতে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি চাকরি দিলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে না; বরং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।”
চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে স্বাধীনতার চেতনাকে বুকে ধারণ করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আলাউদ্দিন মিয়া।
চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশেরই ঢাকায় বাড়ি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্তাদের লেখাপড়া চলাকালীন সময়ে তারা অবসরে গেলে তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, যা সামাল দেওয়া অনেক কষ্টকর হবে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স বাড়াতে উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা দীর্ঘ দিন পার হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলাউদ্দিন।
“গত বছরের ১০ অগাস্ট হাই কোর্ট ৬০ দিন সময় নির্ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স বৃদ্ধির জন্য একটি নির্দেশনা প্রদান করে। এই রায় ওই বছরের ১৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টও বহাল রাখে। তবে তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।”
সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. হেদায়েতুল বারী, কার্যকরী সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।