ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে ভগ্নিপতি অজিত ওরফে নীরবকে আসামি করে ধর্ষণের মামলাটি করেন বলে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মামলার পর তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন নবজাতকটিকে দেখতে যান এসআই হুমায়ুন।
তিনি বলেন, “এজাহারে মেয়েটি দাবি করেছে, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তিনি গর্ভধারণ করেন। সামাজিক লজ্জার ভয়ে নবজাতককে বাড়ির বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।”
গত সোমবার দুপুরে বেইলি রোডের ওই ভবনের পাঁচতলা থেকে ওই নবজাতককে ফেলে দেওয়া হয়। পাশের একতলা বাড়ির ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
তখন পুলিশ বহুতল ওই ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দুই গৃহকর্মীকে যায়, যাদের একজন ওই শিশুটির মা বলেও নিশ্চিত হয়। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
১৭ বছরের ওই কিশোরী সেদিনই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১০ মাস আগে তিনি কুমিল্লায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ভগ্নিপতি কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলেন। তার ফলে তিনি গর্ভধারণ করেন এবং এই শিশুটির জন্ম হয়।
উপর থেকে ফেলে দেওয়ায় শিশুটির বাঁ পায়ের এক জায়গায় ভাঙে। ঢাকা মেডিকেলে শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনীষা ব্যানার্জির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। তার মাও ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।