লঞ্চ থেকে চালক নিখোঁজ, সন্দেহে মালিকপক্ষ

বাগেরহাট-ঢাকা রুটের এমভি পূবালী-১ লঞ্চ থেকে এক চালক নিখোঁজ হয়েছেন, যাতে মালিকপপেক্ষর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 01:27 PM
Updated : 9 Feb 2016, 01:52 PM

পদবী, বেতন ও দায়িত্ব বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লঞ্চের মালিকপক্ষের প্রতি মো. আলাউদ্দিন নামে ওই চালকের অসন্তোষ ছিল বলে তার ভাই নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে মালিকের সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাংশের বিরোধ চলার কথাও ভাই বলেছিলেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে নিজাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার ভাই গত দুই বছর ধরে পূবালী-১ লঞ্চে চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।

মো. আলাউদ্দিন

সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি লঞ্চে ওঠার পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। বেশ কয়েকজন ওইদিন তাকে লঞ্চে দেখার কথা জানিয়েছেন।

“লঞ্চ চলাচলের পথে কোনো জায়গায় উনি নেমে না গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।”

বিষয়টি নিয়ে লঞ্চমালিক মো. আলী আজগরের কাছে কয়েকবার গেলেও তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। উল্টো দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন নিজাম উদ্দিন।

তবে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে লঞ্চের মালিক আজগর আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার লঞ্চ থেকে কয়েক বছর আগেও একবার এক দোকানদার পড়ে গিয়েছিল। পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানতে পেরে আমি তার খোঁজ করেছিলাম।

“শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিয়ে এসেছিল। তাদের বলেছি, দরকার হলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেব।”

এ ঘটনায় আজগরসহ লঞ্চের ১১ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, আলাউদ্দিন গত ৪ জানুয়ারি ছুটিতে বাড়ি গিয়ে পরিবারকে লঞ্চের মালিকপক্ষের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাংশের পদবী, বেতন বৈষম্য ও দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে মতবিরোধের কথা জানান। এসব ঝামেলার জন্য লঞ্চটি থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও বলেছিলেন তিনি।

আলাউদ্দিনের নিখোঁজের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন।