ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে মামলা থেকে প্রত্যাহার 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটরকে ‘জনস্বার্থে’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ও সব মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 06:44 AM
Updated : 9 Feb 2016, 12:12 PM

ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর স্বাক্ষরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং ও হোসেন তরফদারসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হলো।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও চিঠিতে জানানো হয়।

কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে প্রধান প্রসিকিউটর ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘জনস্বার্থে’ এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে গোলাম আরিফ টিপু তা ধরেননি।  

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিফ প্রসিকিউটরের ক্ষমতা রয়েছে উনি যে কোনো প্রসিকিউটরকে মামলা দিতে পারেন, মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে পারেন। উনি সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে মামলা থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছেন।”

ইতোমধ্যে ওই আদেশ কার্যকর হয়েছে বলেও জেয়াদ আল মালুম জানান। তবে তিনি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। 

তবে সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে আসা খবরে বলা হচ্ছে, মোহাম্মদ আলী একটি মামলায় এক আসামির ‘জামিনের পক্ষে’ কাজ করছিলেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “নো, নেভার। গতকাল যে চিঠি আমি পেয়েছি, তাতে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।”

প্রধান প্রসিকিউটরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান এই আইনজীবী।

এর আগে ২০১৪ সালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ নিজের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরির সন্দেহে শাহবাগ থানায় জিডি করেন।

এরপর ওই ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য’ মোহাম্মদ আলীও পাল্টা জিডি করেন, কারণ চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের একই কক্ষে তারা অফিস করেন এবং ওই কক্ষের কম্পিউটার থেকেই তথ্য চুরির সন্দেহের কথা বলেছেন তুরিন।