সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের সাবান ফ্যাক্টরির গলির চিটাখোলার কাছে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান।
নিহত মোতাহার শিশু মো. আব্দুল্লাহর বাবা বাদল মিয়ার চাচা এবং মা রিনা বেগমের মামা।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুগারচর গ্রামে আব্দুল্লাহদের বাড়ি। মোতাহারের বাড়িও একই এলাকায়।
বাবা-মায়ের অভিযোগ, মোতাহারের ‘জাল টাকা তৈরির ব্যবসা’ দেখে ফেলায় ১১ বছর বয়সী মো. আব্দুল্লাহকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ। টেলিফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হলে দুই দফায় মোট দুই লাখ টাকা দেয় তার পরিবার। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মোতাহারের বাড়ির একটি ড্রামে শিশুটির গলিত লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও মোতাহার পলাতক ছিলেন।
র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ভোর রাতে চিটাখোলা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবককে যেতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় সেখানে উপস্থিত র্যাবের টহল দল থামার সংকেত দেয়।
“তারা না থেমে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে। জবাবে র্যাবও গুলি চালালে একটি মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে আরোহীরা পালিয়ে যায়। অপর মোটরসাইকেলের আরোহীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে একটি পিস্তল ও গুলি পাওয়া যায়।”
তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তিই যে মোতাহার, পরে সে বিষয়ে র্যাব নিশ্চিত হয় বলে জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান।
এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মেহেদি হাসান শামীম, খোরশেদ আলম, আল-আমিন মাহমুদ ও নীতু আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।