বুধবার রাজারবার পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মহানগর পুলিশ আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় তিনি বাহিনীর সদস্যদের সদাচরণের পরামর্শ দিয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা নির্যাতনের অভিযোগের পর এক চা দোকানিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে এই সভা হল।
সভায় মাঠ পর্যায়ের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।
একজন এসআই বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
“ওই এসআই বলেন, আমরা ঝড়-বৃষ্টি, রোদ-শীত উপেক্ষা করে দিন-রাত মানুষকে সেবা দেই। অথচ মাত্র কয়েকটা কুলাঙ্গারের জন্য আমাদেরকে আজ অপবাদ সইতে হচ্ছে। তাদের কারণে স্ত্রী-সন্তানদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি।”
সভায় পুলিশ প্রধান শহীদুল হক ঢাকা মহানগরে দায়িত্বরত পুলিশকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিনি বলেন, “আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। আচরণ ভালো করতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। গণমুখী আচরণ করতে হবে। নিরীহ লোকদের আইনি সহায়তা দিতে হবে।”
যারা বেপরোয়া আচরণ করবে তাদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ প্রধান।
পুলিশের অনেক অর্জন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু-চারজনের জন্য পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
কেউ অপকর্ম করলে তার দায়িত্ব বাহিনী নেবে না বলেও সতর্ক করেন শহীদুল হক।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (অপারেশন) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মো. মারুফ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরায়শী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
ডিএমপির সব উপ-কমিশনার, সব থানার ওসি, পরিদর্শকও সভায় ছিলেন।