রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সোনালী দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, “হিন্দু শাস্ত্র আনুসারে বিয়ের মধ্য দিয়ে নারী স্বামীর পরিবারের স্থায়ী সদস্য হয় এবং আজীবন ওই পরিবার থেকে ভরণ-পোষণসহ যাবতীয় সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হয়।
“এমনকি স্বামী থেকে পৃথক বসবাস করেও আজীবন মর্যাদার সঙ্গে ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকারী।”
শাস্ত্র অনুযায়ী স্বামীর মৃত্যুর পরও তার পরিবার স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য দাবি করে তিনি বলেন, “বিবাহ বিচ্ছেদের আইন করা হলে হিন্দু নারীর স্বামীর পরিবারে স্থায়ী পদ বিলুপ্ত হবে এবং সেই পরিবারে অস্থায়ী সদস্য হবে।”
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে এনজিওর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এনজিও কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্ররোচনায় পারিবারিক ভাঙন আজ মহামারি আকারে সমাজে বিস্তার লাভ করছে।”
বিভিন্ন এনজিও শাস্ত্রীয় বিধি ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“এ বিধান যেমন শাস্ত্রে আছে, আইনেও আছে। সিভিল কোর্টে গিয়ে মামলা করে অভিযোগ প্রমাণ করে তা করতে হয়। এর জন্য নতুন কোনো আইনের দরকার নেই।”
বাংলাদেশে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে বিচ্ছেদের মামলার নিষ্পত্তি হলেও হিন্দু আইনে তা নেই। হিন্দু আইনে শুধু স্বামী-স্ত্রীর আলাদা বসবাসের আবেদনের নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে এনজিওকে ‘পরিবার, সমাজ ও ধর্মবিরোধী’ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে আইন করার দাবি জানানো হয়।
দাবি আদায়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক প্রতীভা বাগচী, বীনা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।