রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম নুর আলম মোহাম্মদ নিপু এই আদেশ দেন।
একই দিন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য তার বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনী সংস্থার এক ডিজানাইনারকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন,যিনি ছবি বিকৃতির কথা স্বীকার করেছেন।
লতিফের বিরুদ্ধে মামলার বাদীর আইনজীবী সালাউদ্দিন মনসুর রিমু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেশটিগেশনের (পিবিআই) এএসপি সমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।”
এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি।
বিলবোর্ড-ফেস্টুনে ছবি বিকৃত করে জাতির জনকের অবমাননা করায় লতিফের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগটি করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম জিল্লু।
সেদিন চট্টগ্রামের আরেকটি আদালতে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রবি। ওই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের আগে লতিফের নির্বাচনী এলাকায় (বন্দর, কাঠগড় ও পতেঙ্গা) সড়কের পাশে কয়েক ডজন বিলবোর্ড লাগানো হয়।
এসব বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর দাঁড়ানো অবস্থার একটি ছবি এবং এম এ লতিফের নামে দেওয়া বক্তব্য ছিল।
কিন্তু ওই ছবি নিয়ে ফেইসবুকে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। বলা হয়, ছবির দেহাবয়ব, পাজামা ও জুতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
চট্টগ্রামের ছাত্র ও যুবলীগের একদল নেতা-কর্মী বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পাশাপাশি ‘জামায়াত ঘনিষ্ঠ’ লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে। এরপরই মামলা হয়।