মেট্রোরেলে শব্দ দূষণ হবে না: কাদের

রাজধানীতে মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে শব্দ দূষণ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে যে প্রচারণা চলছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 11:24 AM
Updated : 7 Feb 2016, 11:24 AM

রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শব্দ দূষণ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে যে প্রচারণা চলছে তা অমূলক। মেট্রোরেলের শব্দ নিয়ন্ত্রণে রেলট্র্যাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে শব্দ দূষণের মাত্রা কমে আসবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে প্রস্তাবিত মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনে আবারও দাবি তুলে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

তাদের দাবি, এই মেট্রোরেল হলে বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ পড়বে সরাসরি হুমকিতে। বহু বছরের পুরনো রাজু ভাস্কর্যও তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাবে।

আর এই ট্রেনের শব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার ও দোয়েল চত্বরের পাশে অবস্থিত বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়া এবং ক্যাম্পাস এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে।

তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এর আগের দিন মন্ত্রী কাদের বলেন, এ পর্যায়ে মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই।

রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইইবি’র ৫৬তম কনভেশনে ‘এক্সিলেন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “জাইকার অর্থায়নে ঢাকা মহানগরী ও পাশ্ববর্তী জেলাসমূহের জন্য প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা বা এসটিপি সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্চ মাসে সংশোধিত এসটিপি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।

“এসটিপি অনুমোদিত হলে গাবতলী থেকে ভাটারা এবং এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত আরও দুটি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে।”

২০১৯ সালের মধ্যে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় জনগণ বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখতে পাবেন বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “২০১৮ এর মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে। চলতি বছরের মে মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ সম্পন্ন হবে।”

অবকাঠামো নির্মাণে অপচয় রোধে গুরুত্বারোপ করে প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে হবে। কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়; জনগণ সবকিছুই দেখছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আইনুন নিশাত।

এতে অন্যদের মধ্যে প্রকৌশলী কবির আহমদ ও আব্দুস সবুর বক্তব্য রাখেন।