রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন শ্রিংলা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সব ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাই কমিশনার তা আবারও উল্লেখ করেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও আর্থিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে এ সাফল্যকে ‘অসাধারণ’ অভিহিত করেন ভারতের হাই কমিশনার।
বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার যে লক্ষ্য আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে তা ‘অর্জনযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যেসব রেল রুট চালু ছিল তা আবার চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন শেখ হাসিনা।
ভারতের পার্লামেন্টে স্থল সীমান্ত চুক্তি সর্বসম্মতভাবে অনুসমর্থন করায় ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিদ্যুৎ নিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
আঞ্চলিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর প্রতিবেশীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। দারিদ্র্য বিমোচনে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভারতের হাই কমিশনার দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল ও পণ্য পরিবহন আরও সহজ করতে সীমান্তে চেকপোস্ট বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ হিন্দিসহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে ভারতীয় উদ্যোক্তারা আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
ভারতীয় হাই কমিশনারের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।
বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটিশ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ব্লেক বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে তিনি কাজ করবেন।
ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান ব্লেক।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষায় ভালো করছে বলে জানান তিনি।
অমর একুশে বইমেলা দেখে অভিভূত হয়েছেন- বলেন তিনি নতুন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ তিন ব্রিটিশ বাংলাদেশি নারী দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের রাজনীতিতে বাংলাদেশিরা ‘বৃহত্তর ভূমিকা’ রাখছে- এটা তার প্রমাণ দেয়।