রোববার এ মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ থাকলেও তা জমা না পড়ায় মহানগর হাকিম নুরু মিয়া ৩ মার্চ নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মন্তব্যের কারণে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”
এরপর ২৫ ডিসেম্বর খালেদার ওই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা জরিপ করে দেখতে বলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ‘নির্বোধের মতো মরেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তাদের এই বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এ বি সিদ্দিকী মানহানীর মামলা করতে আদালতে গেলে মহানগর হাকিম আদালত অভিযোগ তদন্ত করে শাহবাগ থানাকে প্রতিবেদন দিতে বলে।