নতুন করে যাদের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে তাদের মধ্যে আসামি মাওলানা আব্দুর রশীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়া হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানও রয়েছেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দী দেওয়া তিনজনের নামও এই তালিকায় রয়েছে, যাদেরকে অভিযোগপত্রে সাক্ষীদের কলামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে এ আবেদন করা হয়, যার ওপর আংশিক শুনানি হয়। শুনানির পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
নতুন সাক্ষী নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা প্রমাণের জন্য তাদের সাক্ষ্য নেওয়া জরুরি।
আবেদনের বিরোধিতা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় গত ১ এবং ২ ফেব্রুয়ারি ২০৭ নম্বর সাক্ষী, ঘটনার সময় মতিঝিল থানার এসআই মনির হোসেনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগনেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ কারাগারে আটক মামলার আসামিদের এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
জামিনে থাকা খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও আসামি ছিলেন। সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।