মায়ের নামের হাসপাতালে টিকেট কেটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রধানমন্ত্রীর

গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে নিজের নাম নিবন্ধন করে ফি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2016, 07:54 AM
Updated : 5 Feb 2016, 09:40 AM

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে কাশিমপুরের তেতুইবাড়িতে হাসপাতালে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়তুন সোলায়মান ও পরিচালক আরিফ মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রী নিজেই হাসপাতালের কাউন্টারে গিয়ে নিবন্ধন করেন ও চেকআপের ফি দেন। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে প্রেস উইংয়ের তথ্য।

প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত প্রধানমন্ত্রীর নাক, কান, গলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা করেন। চোখ পরীক্ষা করেন অধ্যাপক ডা. দ্বীন মো. নুরুল হক।

এছাড়া ডা. ওয়াজিহা আক্তার জাহান, ডা. বনজবা ও ডা. শাহানা ফেরদৌস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক  ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ হাসপাতালটিকে বেছে নেন। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাহায্য দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়।এর নামকরণ হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।   

মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু, চক্ষু, নাক-কান-গলা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার আধুনিক ব্যবস্থার জন্য এ হাসপাতাল ইতোমধ্যে প্রশংসা অর্জন করেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ‍উইং থেকে জানানো হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও অন্য সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।