বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি নেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহারিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ জানুয়ারি থেকে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রোনা নাহারিনের সঙ্গে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মনজু নাজনিন রয়েছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মামলায় বলা হয়, ২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীরা গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক আদালত বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথরেফারেন্স ওই বছর হাই কোর্টে আসে। আসামিরা জেল আপিল ও আপিল করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২১ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়।
মামলার বাদী মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। এ মামলায় বাদীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু ও কাজী সাজাওয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী রয়েছেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে ইতিমধ্যে দুই জন মারা গেছেন এবং ১৬ আসামি কারাগারে ও অপর ১০ আসামি পলাতক বলে জানান তিনি।