বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হবে বিনিয়োগে: আমু

বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্প্রীতি আরো দৃঢ় হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2016, 03:14 PM
Updated : 3 Feb 2016, 03:14 PM

বুধবার বিকালে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি বলেন, “আজকে ভারতের যারা বিনিয়োগকারী এদিকে- যেমন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছেন, অনেকে তেমনি অন্যদিকে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

“তবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইকোনমিক জোন তৈরি করছেন। যেসব বিদেশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের জন্য সেই ইকোনমিক জোনে কল-কারখানা গড়ে তোলার জন্য তিনি সুযোগ সৃষ্টি করছেন।”

আগামী দিনে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির জন্য এসব ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের পথ আরও সুগম হবে আশা প্রকাশ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগের মধ্য দিয়েও আমাদের সম্প্রীতি আরও বৃদ্ধি পাবে, দৃঢ় হবে।”

ভারতকে ‘মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু’ আখ্যায়তি করে আওয়ামী লীগ নেতা আমু বলেন, “ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ; এই সম্পর্ক আমাদের অটুট রাখতে হবে। এই সম্পর্ক অটুট রাখার মধ্য দিয়ে আমাদের ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অটুট থাকবে, সাংস্কৃতিক সম্পর্কে একাত্বতা থাকবে।”

দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধন’ আরও সুদৃঢ় করতে ভারতে যাতায়াত ভিসা সহজ করার জন্য সম্মেলন উপস্থিত ভারতের নেতাকর্মীদের কাছে আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।

“অনেক সময় ভারতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যদি উনারা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই-কমিশনে তাদের স্বরাষ্ট্র ব্র্যাঞ্চ খুলেন, তাহলে ভিসা পেতে সুবিধা হবে। এ যাতায়াতের মধ্য দিয়ে বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।”

বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।

আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ‘রক্তের সম্পর্ক’ বলে আখ্যায়িত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর রক্ত একই ধারায় প্রবাহিত হয়েছে।তাই দুদেশের এই সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক।

“বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ইউরোপের ধনী দেশগুলো এক মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারছেনা; অথচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত।”

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ নয় মন্তব্য করে উপাচার্য বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সকল ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক একাকার হয়ে আছে।”

দুই দেশের এই সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব জটিলতা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক।

সম্প্রীতি পরিষদের চেয়ারপার্সন এম এ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লা, সাংসদ এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট  বিরুপাক্ষ পাল, বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাসেত মজুমদার, ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য সোমেন্দ্র নাথ মিত্র, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ আলী বক্তব্য রাখেন।